প্রেমিকের কাদম্বরী জীবন
প্রেমিকের কাদম্বরী জীবন
রিন্টু সাহা
প্রতি প্রেমিক জীবন গল্পে একজন কাদম্বরী রয়!
বাঁধা ধরা সংসারী প্রেম নয়,
শাশ্বত হৃদয়ের গহীনে লুকিয়ে এই প্রেম।
যে প্রেমে থাকে না দায়দায়িত্ব সীমা পরিসীমা।
সে অর্থে একান্ত আপন করে পাওয়ার দাবীও নাই।
অদ্ভুত! বেনিয়ম বেপরোয়া সুপ্ত প্রকাশিত প্রেম।
ঠিক সমাজ স্বীকৃত প্রেম নয় বোধহয়, আবার প্রেমও।
এই গল্পে প্রেমিক অজান্তে বা জেনে বুঝে জড়ায়
সেই মনে মনে একাকিনী প্রেমিকার।
অজানা কারণে এই প্রেমিকার হৃদয়ে ঝড় তোলে।
সমাজ সংসারের দৃষ্টিভঙ্গিতে ঠুনকো এই প্রেম।
এই প্রেম কাহিনীর অপর অভিমুখে দেখা যায়—
প্রেমিকা এখানে অন্যজনের গৃহিণী।
স্বামী, শ্বশুর বাড়ির অবহেলিতা, দুখিনী।
তার জাগ্রত প্রেম সত্ত্বা নতুন প্রেমিক খোঁজে।
পেয়েও যায় সহজেই, একটু চেষ্টাতেই।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই প্রেমিক স্বাত্মীয় হয়।
আবার পাড়াপড়শি বা অন্যকেউও হতে পারে।
প্রেমিক অবিবাহিত হয়, বিবাহিতও হয় কখোনো।
একপ্রকারের পরকীয়া সম্পর্ক বললেও হয়,
কিন্তু না বলাই সমীচীন, সন্মান প্রদর্শিত।
কেননা এখানে চাওয়া পাওয়ার দাবী সামান্য।
এ এক দ্বিতীয় অনাহূত প্রেম, জীবনের।
আত্মার প্রথম ই বলা যায়।
এই সম্পর্কে যেকোনো একজন এমনিই হয়তো ভাবে।
একজনের মৃত্যু বা জীবিত মৃত অবস্থায় থেকে,
এই প্রেম চিরস্থায়ী হয় কাহিনী গাঁথায়।
এই প্রেম রোগে শিল্পীরা বেশি আক্রান্ত, প্রমানিত।
চারিধারে সৃষ্টিকর্মের বিরামহীন আয়োজনে,
কাদম্বরীরা প্রদীপ আলোর অন্ধকারে গুমরে মরে।
Comments
Post a Comment